মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

গোপালগঞ্জে হাত-মুখ বাঁধা রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:২৭
আপডেট  : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:২৭

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার শাহজাহান রোডের একটি বাসায় মালাইলা আফরোজ (৪৮) নামে এক নারী ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে (১৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বাসার গৃহকর্মী পলাতক আছে, তাই ধারণা করা হচ্ছে গৃহকর্মী তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
জানা গেছে, নিহত নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণি শিক্ষার্থী ছিল।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাসার গৃহপরিচারিকাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা কাজ করছি।
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধ নিহত
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহতরা ভবনের ৭ তলায় বসবাস করতেন। গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম সকালে কাজের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এরপর দুপুর ১২টার দিকে এসে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। মেয়ে নাফিসাকে জীবিত অবস্থায় পেলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়।
ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ ও তেজগাঁও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ওই গৃহকর্মীর নাম আয়েশা। সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ধারালো ছুরি বাথরুমের বালতির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।


গোপালগঞ্জে হাত-মুখ বাঁধা রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
গোপালগঞ্জে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় আবির সাহা (৩৫) নামে এক রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের ঘোষেরচর উত্তরপাড়ার একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবির সাহা (৩৫) রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাহাপাড়ার গৌর সাহার ছেলে। এটিকে হত্যাকাণ্ড বলছে পুলিশ।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাখাওয়াত হোসেন সেন্টু বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন বাগানের ভেতরে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। লাশের মুখ ও হাত বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ‘হাত-মুখ বাঁধা অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে ওই রিকশাচালক হত্যাকাণ্ডের শিকার। তবে কারা কেন হত্যা করেছে, সে বিষয়ে জানার জন্য তদন্ত চলছে।’