রাজধানী ঢাকার একটি মাদরাসার শৌচাগার থেকে হাফেজ মোহাম্মদ তৌফিক সিয়াম (১৭) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার সকালে ঢাকার মারকাজু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামিয়া মাদারাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সিয়াম আত্মহত্যা করেছে জানালেও ওই শিক্ষার্থীর পরিবার দাবি করেছে— এটা হত্যাকাণ্ড। পুলিশ বলছে, লাশের সুরতহালে শরীরে দুটি স্থানে বেতের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সিয়ামের পরিবার জানায়, ঢাকার মারকাজু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী তৌফিক সিয়াম খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় হিফজ প্রতিযোগিতায় একাধিকবার পুরস্কারপ্রাপ্ত। রবিবার সকালে মাদরাসা থেকে ফোন করে জানানো হয়, সিয়াম আত্মহত্যা করেছে। এরপর ঢাকায় থাকা স্বজনরা দ্রুত মাদরাসাটিতে যান।
পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে সিয়ামকে হত্যা করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, যেন ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া যায়।
সিয়ামের বাবা সালাউদ্দিন সরদার বলেন, আমার ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। সে ধর্মভীরু, শৃঙ্খলাপরায়ণ ও পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিল। বহুবার জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে। এটা স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার দারুসসালাম থানার এএসআই আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। নিহতের শরীরের দুটি স্থানে বেতের আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন এলে বিস্তারিত জানা যাবে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।