‘কুৎসা রটিয়ে এবার ফেঁসেই গেল এনসিপি’

মাসুদ কামাল
ডেস্ক রিপোর্ট
  ২০ জুলাই ২০২৫, ২৩:৫৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপির এক নেতার বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন এবং দলটির সমাবেশস্থলে ভাঙচুর চালান।
সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল এ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এনসিপির এক নেতা চকরিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। যা কক্সবাজারের বিএনপির নেতাকর্মীদের হৃদয়ে আঘাত হানে। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।’
তিনি আরও জানান, এনসিপি এর আগেও গোপালগঞ্জে একই রকম উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়েছে। কক্সবাজারেও তারা একই কৌশল নিয়েছিল। তবে এবার তারা ফেঁসে গেছে। তারা মিটিংয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যের চেয়ে ব্যক্তিকে আক্রমণ করে তাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করে, তা কোনো সুস্থ রাজনীতির লক্ষণ নয়।
মাসুদ কামাল বলেন, এনসিপির এক নেতা চকরিয়ায় যে বক্তব্যটি দিয়েছিলেন তা হুবুহু তুলে ধরলাম। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে নারায়ণগঞ্জের বিখ্যাত গডফাদার ছিল শামীম ওসমান। এখন শুনছি, কক্সবাজারের নব্য গডফাদার শিলং থেকে এসেছেন। ঘের দখল করছেন, মানুষের জায়গাজমি দখল করছেন, চাঁদাবাজি করছেন। আবার তিনি নাকি সংস্কার বোন না। নাম না বললাম। কক্সবাজারের জনতা এ ধরনের সংস্কারবিরোধী, পিআর বোঝেন না, তাদের রাজপথে ঠেকিয়ে দেবেন, ইনশাআল্লাহ।’
এই বক্তব্যের পরপরই বিএনপির নেতাকর্মীরা কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ করেন। চকরিয়া, মহেশখালীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল হয় এবং বিকেল ৪টার দিকে চকরিয়ায় মহাসড়কে ব্যাপক স্লোগান-মিছিলের আয়োজন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, ‘এনসিপির নেতারা একবার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, আবার আরেকবার বিএনপির বিরুদ্ধে; একেক সময় একেক রকম কথা বলেন। কখনো বলেন বিএনপি ৫০-১০০ আসন পাবে, আবার তারা নিজেরা ২০০ আসনের কথা বলেন। এই সব বক্তব্যে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।’
এনসিপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশটাকে বিভক্ত নয়, ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করুন। মানুষকে আক্রমণ করে, মাস্তানি করে দেশের মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। এটা আওয়ামী লীগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এনসিপিও যদি একই পথে হাঁটে, তাহলে তাদেরও পালাতে হবে।’