বাংলাদেশকে আরও অপেক্ষা করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২০ জুলাই ২০২৫, ১৪:১৩

৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ লাঘবে সমঝোতা চুক্তি করতে বাংলাদেশ অধীর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে সম্ভাব্য আলোচনার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানায়নি মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর (ইউএসটিআর)। এ নিয়ে তৃতীয় ও চূড়ান্ত দফা আলোচনার সময়সূচি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ইমেইলের জবাবে আরও অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুল্ক চুক্তিবিষয়ক বাংলাদেশের অবস্থানপত্র আজ রোববারের বদলে আগামীকাল সোমবার পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের চাওয়া বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে প্রতিনিধিদল দ্বিতীয় দফার বৈঠক করে দেশে ফেরার পর থেকে দফায় দফায় আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মতামত নেওয়া হয় ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদেরও। এসব বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের মতামত পাওয়ার পর বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আলোচনার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চুক্তির প্রশ্নে মার্কিন দাবি ও শর্তের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় স্পষ্ট। একটি বাণিজ্যসংক্রান্ত ইস্যু, অপরটি অ-বাণিজ্যসংক্রান্ত। বাণিজ্য ইস্যুগুলোর বিষয়ে বৈঠকেই সমাধান পাওয়া গেছে এবং সে অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু অ-বাণিজ্যসংক্রান্ত ইস্যুগুলোর বিষয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক উভয় দিক পর্যালোচনা করে আলোচকেরা এর জন্য সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সবশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান গতকাল বলেন, ‘মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। তারা একটু সময় চেয়েছে। এ কারণে আমরা শুল্ক চুক্তি ইস্যুতে যে বিষয়ের ওপর চূড়ান্ত আলোচনায় যাব, তার চূড়ান্ত অবস্থানপত্র রোববারের পরিবর্তে সোমবার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বাণিজ্যসচিব এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসনের চাওয়া অনুযায়ী বাংলাদেশ কোন ইস্যুতে কতটা দিতে পারবে বা কতটা পারবে না, কোন ইস্যুতে শুধু শক্তিশালী দর-কষাকষিই যথেষ্ট—এ সবকিছু বিবেচনা করে আমরা ইতিমধ্যে অবস্থানপত্র তৈরি করেছি। সেখানে অ-বাণিজ্যসংক্রান্ত ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্মতি ও অসম্মতি উভয় দিকের বার্তাই রয়েছে। কাজটি সমন্বয় করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের মধ্যে পড়লেও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির ইস্যু হওয়ায় এর অনুমোদন উপদেষ্টা পরিষদ তথা প্রধান উপদেষ্টাকেই দিতে হবে। সেখান থেকে যেসব বিষয়ে সবুজ সংকেত মিলবে, তা বহাল রেখে এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় বাদ দিলেই “অবস্থানপত্র: চূড়ান্ত” বলে বিবেচিত হবে।’ সময়ের বিবেচনায় ইস্যুটিতে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়ে আজ রোববারই প্রধান উপদেষ্টার কাছে সময় চাওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।