জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে রাজনৈতিক চর্চার নতুন সুযোগ তৈরি হওয়ায় এটাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই সমাবেশে জনদুর্ভোগ হতে পারে উল্লেখ করে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এই সমাবেশে বিপুল জনসমাগমের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি রাজধানীতে বিপুল লোক সমাগম হবে। এতে কিছু যানজট ও জনদুর্ভোগ হতেই পারে। এজন্য আমরা আগেই দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে জামায়াত বারবার নির্যাতিত হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করা হয়েছে। তবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বাস্তব সুযোগ পেয়েছি। তাই ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছি।
গোলাম পরওয়ার জানান, এই সমাবেশে সব রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সব মহলকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে চাই আমরা।
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা জানান, ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, সবার জন্য রাজনৈতিক মাঠের সমতা (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের বিচার ও আহতদের পুনর্বাসন, সাংবিধানিক ও নির্বাচনী সংস্কার, সংখ্যানুপাতিক ভোট ব্যবস্থা (পিআর সিস্টেম) চালুর দাবি, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
তিনি জানান, সমাবেশ সফল করতে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন কমিটি ও উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। তারা সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের শীর্ষ নেতারা ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।