কিছু দল বিএনপির নামে রংচং দেওয়ার চেষ্টা করছে: রিজভী

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ জুলাই ২০২৫, ২৩:৫৬

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক দল এটাকে বিএনপির সঙ্গে কালার করার, রংচং দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কোথায়?
শনিবার (১২ জুলাই) মহানগর উত্তরের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনায় বিএনপি বা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নামে যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের রাতেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি একটা বৃহৎ পরিবার। কোনো ছিদ্রপথে দু-একজন দুষ্কৃতকারী ঢুকে পড়ে, সেটা সবসময় হয়তো খোঁজ রাখা যায় না। এত বড় একটা পরিবার। কিন্তু কোনোভাবেই যদি দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করা যায়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দল কখনোই কারপণ্য করেনি।
তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সমাজে কোনো দুষ্কৃতকারী এবং দলের মধ্যে যদি কোনো সন্ত্রাসী থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জিয়াউর রহমান এভাবে বিএনপিকে গড়ে তুলেছিলেন। দুষ্কৃতকারীকে তার রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করেননি। অপরাধ করেছে, তার বিচার হবে, তাকে গ্রেফতার করেন। এটাই তো জিয়াউর রহমানের আইনের শাসন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বারবার আহ্বান করা হচ্ছে, তারা (বহিষ্কৃতরা) সন্ত্রাস করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করুন। আপনারা (প্রশাসন) যদি নিশ্চুপ থাকেন তাহলে তো সমাজে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা-নৈরাজ্য তৈরি হবে, আরও বেশি সন্ত্রাস তৈরি হবে। সন্ত্রাসীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তারা নিজের ধান্দা ও সুবিধার জন্য এর বাড়ি দখল করে, ওর জমি দখল করে, ওর গোয়ালঘর থেকে গরু নিয়ে যায়, তার পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এটাই সন্ত্রাসবাদীদের কাজ।
তিনি বলেন, কোনো ধরনের অপকর্ম, সংঘাত, রক্ত ঝরানো, মানুষ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, বিএনপিতে তাদের কোনো ঠাঁই নেই। যেখানে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেখানে তো এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে প্রতিদিন। মানুষ যেন শান্তিতে থাকে সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি।
অপরাধী কেউ যেন দলের মধ্যে ঢুকে মাথাচাড়া দিতে না পারে- নেতাকর্মীদের প্রতি এমন নির্দেশ দিয়ে রিজভী বলেন, আমি প্রশাসনকে ফোন করে বলেছি, অপরাধী যত প্রতাপশালী হোক তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করুন। বিএনপি তার পক্ষে কথা বলবে না। কিন্তু আপনারা সেটা করছেন না কেন? এখানে ঢাকার পুলিশ কমিশনার কী করেন? নাকি আপনারা চাচ্ছেন, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকুক। আর দায়গুলো চাপানো হবে বিএনপির ঘাড়ে।