বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘বিএনপির ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র চলছে। একটি রাজনৈতিক দল উঠে পড়ে লেগেছে। অথচ বিএনপি মজলুমদের দল। গত ১৮ বছর নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তখনও একইভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর একইভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজের স্থান হবে না।’
শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শ্রমিকদলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করতে গত ১৮ বছর নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতন করা হয়েছে। যেন বিএনপি দেশ থেকে চিরতরে নিঃশেষ হয়ে যায়। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হামলা করে পুঙ্গ করা হয়েছে। বর্তমানে বিএনপিকে নিয়ে নানাস ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যারা নির্যাতনের স্বীকার হননি।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সবাই বিএনপি হয়ে গেছে। আগে মিছিল করতে লোক পেতাম না, এখন মঞ্চে জায়গা পাই না। যারা আগে অন্যায় অপরাধ করেছে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। যারা অন্যায় অত্যাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের বিএনপিতে কোনো জায়গা নেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, খুনিদের দলে স্থান দেননি। তারেক রহমানও বিএনপিতে কোনো অপরাধী, সন্ত্রাসী, খুনিদের জায়গা দেবেন না।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে শ্রমিকরা। ছাত্ররা যখন গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে ছিলেন তখন ভ্যান, সিএনজি, অটোতে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। একজন রিকশাচালক তার গাড়িতে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি করেছেন। শ্রমিকদের অর্থের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা ও শ্রমিক কুলিদের রক্তে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি।’
নাটোর জেলা যুবদলের সভাপতি আবু রায়হান ভুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, সাবেক মেয়র এমদাদুল হক আল মামুনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।