ছাত্ররা দেশ পরিচালনার কঠিন দায়িত্ব নিয়ে ব্যর্থ হলে ১৮ কোটি মানুষ তথা বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আমাদের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। একসময় দেশ পরিচালনা করেছি। আগামী দিনে যদি সুষ্ঠু ভোট হয়, দেশের জনগণ যাকে দায়িত্ব দেবে তারাই দেশ পরিচালনা করবে। ছাত্রদের যখন দায়িত্ব দেবে ছাত্ররাই দেশ পরিচালনা করবে। তার জন্য ছাত্রদের সঠিক প্রস্তুতি নিতে হবে, সচেতন থাকতে হবে।
বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বৃত্তি প্রদান ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ঢাকা মহানগর সাংস্কৃতিক ফোরাম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আজকে যারা নতুন প্রজন্ম তারাই আগামী দিনে বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। গুরুদায়িত্ব পালনে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে এ দেশটি তোমাদের। আমরা এখন আছি, আমরা কিন্তু চলে যাবার পথে। আমাদের সময় কিন্তু প্রায় শেষ। আর তোমাদের সময় কিন্তু শুরু।
‘কাজেই সেই কথা মনে রেখে তোমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন যদি সময় নষ্ট করো তাহলে ১৮ কোটি মানুষকে পরিচালনার দায়িত্ব যখন আসবে, তখন কিন্তু সঠিকভাবে পালন করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ছাত্রদের যে শক্তি সেই শক্তি কিন্তু আমাদের নেই। সেই শক্তি আছে বলেই তারা সামনে এগিয়ে গেছে। জুলাই আন্দোলনের যে অর্জন সেটি ছাত্রদের। আমরা সেই কথা গর্বের সঙ্গে বলি। তবে বিগত ১৫ বছর সংগ্রাম করে এ অর্জনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ। কাজেই গৌরবময় অর্জন ধরে রাখতে হবে।
‘এই সুযোগ যদি হেলায় হারাও, কোনো ভুল পথে গিয়ে যদি সুনাম নষ্ট করো তাহলে শুধু তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে’- ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন তিনি।
ড. মঈন খান আরও বলেন, ছাত্রদের কাছে লেখাপড়া তপস্যার মতো, এ কথা ভুলে গেলে চলবে না। তোমরা দেশ পরিচালনা করে দেশকে মঙ্গলের পথে নিয়ে যাবে, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করবে। কিন্তু সেজন্য সঠিক প্রস্তুতি নিতে তোমাদের ক্লাসে ফিরতে হবে। সঠিক শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে পুনরায় ফিরে আসতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. ইউনুস তালুকদার রাজুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডা. আ ন ম এহসানুল হক মিলন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আলমগীর হোসেন ও বিশিষ্ট সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সালমান হোসেন, সাবরিন আলম, ফাহমিদা আক্তার, মোহনা আক্তার, রেহেনামু বিনতে হোসেন, মারিয়া আক্তার, উসরাত প্রিয়তমা, জেরিন রহমান, সামিয়া ইসলাম, মনিকা আক্তার, আফসানা ইসলাম, নুরে জান্নাত আঁখি, জান্নাত আক্তার, ইশানি গো, অরপিতা চৌধুরী, সিলভিয়া জামান, মাহফুজা আক্তার, আফরোজা ইসলাম, রাইসাতুল অর্পাসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে মেডেল ও সনদ দেওয়া হয়।