টিউলিপকে বুধবার সকাল ১০টায় দুদকে তলব

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৮ মে ২০২৫, ২৩:১১

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে এবার ঘুসের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ‘ঘুস’ হিসেবে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য দিতে আগামী বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে হাজির হতে অনুরোধ করা হয়েছে।
গত ৭ মে দুদক থেকে পাঠানো নোটিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ওই নোটিশ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা ও গুলশান-২ এর বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনকে বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুদকে তলব করেছিল সংস্থাটি।
টিউলিপের ঠিকানায় পাঠানো নোটিশে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো টাকা পরিশোধ না করেই অবৈধ পারিতোষিক হিসেবে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি মূলে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে ফ্ল্যাট দখলে নিয়ে এবং পরে রেজিস্ট্রি মূলে গ্রহণ বা গ্রহণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে টিউলিপের বিরুদ্ধে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে তার বক্তব্য শোনা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক। নির্ধারিত তারিখে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে এ বিষয়ে তার কোনো ‘বক্তব্য নেই’ মর্মে গণ্য করা হবে।
গত ১৫ এপ্রিল অবৈধ সুবিধা নিয়ে গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর দুদিন আগে ১৩ এপ্রিল ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকার পূর্বাচলে ৩০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক ও আরেক মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীসহ ৫৩ জনকে গ্রেফতার করতে পরোয়ানা জারি করে আদালত।
এ তিন মামলায় দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেন।
যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুদক গত কয়েক মাসে যেসব অভিযোগ এনেছে, সেগুলোকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী। লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সিটি মিনিস্টার’র পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন।