ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনে যোগ দিতে ২০ জানুয়ারি (সোমবার) দিবাগত রাত ১টায় ৪ দিনের সফরে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সফরকালে তিনি বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার স্টাব, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কারা যাচ্ছেন বা কতজন যাচ্ছেন- এ প্রশ্নের উত্তরে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, শুধুমাত্র প্রোটোকলের সঙ্গে যারা জড়িত তারা যাচ্ছেন। আর উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তার সঙ্গে যারা রয়েছেন তারা যাচ্ছেন।
মোট কতজন যাচ্ছেন সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সংখ্যা বলতে পারছি না।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে কোনো বিদেশ সফরে বিশাল সফরসঙ্গীর বহর থাকতো।
তবে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের কয়েকটি বিদেশ সফরে সফরসঙ্গীর আধিক্য একেবারেই ছিল না। যা সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
ডব্লিউইএফ সম্মেলনে থাকছে বাংলাদেশ নিয়ে পৃথক ডায়ালগ
সম্মেলনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নিয়ে পৃথক ডায়ালগের আয়োজন থাকবে।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব জানান, এ ধরনের ফোরামে সাধারণত উন্নত দেশগুলোই এ জাতীয় ডায়ালগ করার সুযোগ পায়। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেই সুযোগ পেয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আশা করে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতাদের কনফিডেন্স বাড়াতে এ সফর সহায়ক হবে।
ডায়ালগটির আয়োজক কারা- জানতে চাইলে উপ-প্রেস সচিব বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামই এটির আয়োজক। যেহেতু এটি একটি প্রাইভেটলি কনফারেন্স, তারা বাছাইকৃত দেশকে এ সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ডায়ালগে বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, নেতৃবৃন্দ এবং বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিইও) যোগ দেবেন। ডায়ালগটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি দুর্লভ সুযোগ।